বাংলাদেশে বিশালাকারে কুরবানির ঈদ উদযাপন, মাংশ বিতরন , রাস্তায় রাস্তায় বিতরন হওয়া মাংশ বিক্রি, ঘরে বাইরে ঈদ পরবর্তী গেট টুগেদার পার্টি, ঈদের ছুটিতে রিসোর্ট, কক্সবাজার ট্যূর ইত্যাদি ছবিতে সয়লাব সোস্যাল মিডিয়া। এসব ছবি দেখে কোনভাবেই বোঝার উপায় নাই যে এই বিশ্বে একটি মহামারী চলছে এবং বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা একটি দেশ।
দেশে থাকা অনেকের সাথে কথা বললে অনেকেই একটা কথা বলে যে বাংলাদেশে মৃত্যূহার অনেক কম। তাই করোনাকে এত পাত্তা দেয়ার দরকার নাই। অনেকেই এই কথাটা ভাবছে না যে প্রতিদিন ৪০ এর উপড়ে মৃত্যূবরন করা সংখ্যার মাঝে যে কোন মুহুর্তে আপনিও হতে পারেন সেই সংখ্যার একজন। আবার অনেকেরই এই ধারনাটা নাই যে বহির্বিশ্ব মৃতূহার নয়, তারা দেখে একটি দেশ মহামারী রুখতে কি ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। সেই ব্যবস্থা্নুযায়ী তারা অন্য দেশের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে।
বাংলাদেশের সাথে এই মুহুর্তে প্রায় সব দেশেরই রেগুলার ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে এবং বাংলাদেশে আটকা পড়া অনেক প্রবাসী প্রবাসে ফিরতে পারছে না। এই বিশ্বে যে সব দেশ করোনা মোকাবেলায় মোটামোটি সফলতা অর্জন করেছে তারা নিজেদের মধ্যে আবারো যোগাযোগ পুনর্স্থাপন করেছে। কিন্ত বাংলাদেশ , ইন্ডিয়া, ব্রাজিল ইত্যাদি দেশগুলোর সাথে সহসা যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবার সম্ভাবনা কম। অনেক দেশেই করোনা মোকাবেলায় অদক্ষ দেশগুলো নিয়ে বিদ্রুপাত্মক আলোচনা চলছে।