19 September 2021

ইভ্যালির প্রতারণাঃ দোষ কি শুধু রাসেল দম্পতির?

সাইক্লোন অফারের সাইক্লোনেই যেন ধ্বংস হলো ইভ্যালি। হাজার কোটি টাকার দেনা আর লক্ষ গ্রাহকের আর্থিক ক্ষতির দায় মাথায় নিয়ে রিমান্ডে রাসেল দম্পতি আরেকটি যুবক-ডেস্টিনির গল্প তৈরি হবার শংকা অর্থনীতিবিদদের। কিন্তু এই লক্ষ গ্রাহকের আর্থিক ক্ষতির পেছনে দোষ কি শুধু রাসেল দম্পতির?


ইভ্যালির মতো প্রতিষ্টানের প্রতারণার পেছনে দোষ আছে সরকারেরও। প্রতিষ্ঠানটি গোপনে তার ব্যবসা পরিচালনা করেনি। যে পরিামাণ বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা ব্যবসা করেছে, তাতে সরকারের নীতিনির্ধারকদের এ বিষয়টা না জানার কথা নয়। তাছাড়া তারা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পনসরও হয়েছিল। 

ইভ্যালি ব্যবসা শুরু করার সময়ই বোঝা গিয়েছিল তারা প্রতারণা করবে। তারা অর্ধেক দামে পণ্য বিক্রির অফার দিয়েছিল। অনেক মানুষ বিনিয়োগ করেছে। অন্য সবকিছু বাদ দিলেও প্রতিযোগিতা আইন অনুযায়ী, এই ধরনের ব্যবসা চলতে পারে না। কিন্তু সরকার সময়মতো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

ইভ্যালিকে প্রতারণা করার সুযোগ করে দিয়েছে ক্রেতাদের লোভও। ৫০ হাজারের জিনিস ২৫ হাজারে, বা ৪ লাখের জিনিস ২ লাখে পাবার লোভ। এই লোভের কবলে পড়ে ছেলে টাকা ধার করেছে মা-বাবার কাছ থেকে, বন্ধু টাকা ধার করেছে বন্ধুর কাছ থেকে। অনেকে আবার বিক্রি করে দিয়েছে নিজের শেষ সম্বল। 

এই ক্রেতাদের বড় একটা অংশ আবার ইভ্যালিতে টাকা “বিনিয়োগ” করেছে ব্যবসা করার সহজ সুযোগ হিসেবে। ৫০ হাজারের জিনিস ২৫ হাজারে কিনে ৪০ হাজারে বিক্রির জন্য বা ৪ লাখের জিনিস ২ লাখে কিনে ৩ লাখে বিক্রির জন্য। কোন কষ্ট ছাড়া ১৫ হাজার বা ১ লাখ টাকা লাভের চকচকে লোভ এড়ানো কঠিন।