03 September 2021

পুলিশ কেন অপহরণকারীর ভূমিকায়?

আবারও প্রকাশ পেলো পুলিশ বাহিনীর অপরাধপ্রবণতার ঘটনা। দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দেরাই গ্রাম থেকে মা ও সন্তানকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করেছিল রংপুর পুলিশের কিছু সদস্য। অপহরণকৃতদের পরিবারের সদস্যদের কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। পুলিশের অপকীর্তি এটাই প্রথম নয়। এর আগেও পুলিশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য নানা ধরনের অপরাধে লিপ্ত হয়েছিল। 


পুলিশের হাতে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে অনেক। ২৫ বছর আগে ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রুবেল হত্যা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিককালে কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর এক অবসরপ্রাপ্ত মেজর হত্যা পুলিশের অপরাধের দুটি বড় উদাহরণ। এ ছাড়া চাঁদাবাজি, অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়াসহ নানা ধরনের অনৈতিক কাজের সঙ্গে পুলিশের একাংশ জড়িত থেকেছে। পুলিশের ডিআইজি মিজানের কাহিনি তো একসময় ‘টক অফ দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছিল।

জনগণের করের টাকায় বেতনভুক পুলিশ বাহিনী সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং সমাজে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখবে-এটাই প্রত্যাশিত। অথচ তাদের একাংশ এই ব্রত পালন না করে গণবিরোধী কর্মকাণ্ডেই লিপ্ত হয়ে পড়ছে।
বিষয়টি শুধু অনভিপ্রেতই নয়, উদ্বেগজনকও বটে। বিপদে পড়লে সাধারণ মানুষের যখন পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার কথা, তখন উলটো পুলিশই তাদের বিপদে ফেলছে! এ অবস্থা বেশিদিন চলতে পারে না।