মেজর সিনহাকে চারটা নাকি ছয়টা গুলি করেছে তা নিয়ে বিতর্ক করে কি লাভ এখন। তাকে নির্মম নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে এটাই সত্য। আর এই হত্যা করেছে দেশের আইন শৃঙ্খলা যারা রক্ষা করে তারাই। গুলি করেছে এসআই পদবি লিয়াকত। সিনহা গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। ইস ! কি ভয়ানক কষ্ট করছে তখন। তার মুক্তিযোদ্ধা বাবার আত্মা তখন কেমন করেছে এতদিনে সিনহা হয়তো জেনে গিয়েছে। বাবা ছেলেকে কাছে পেয়ে হয়তো দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলছে এ কেমন অবিচার দেশটাতে অথচ এই দেশের জন্যই অস্ত্র হাতে মরণপণ লড়াই করেছি।
তবে এবার বিচার হতে পারে কারণ প্রদীপ আর লিয়াকত বিরোধী দলের লোক। তারা আওয়ামী লীগকে ধোকা দিয়েছে এত দিন। আর সাক্ষী বাঘের মুখ থেকে ফিরে আসা সিফাত আর শিপ্রা। ভয়ের কোন কারণ নেই সিফাত ও শিপ্রা সত্য বলে মরণ হোক আরেকবার। তোমরাতো সিনহার সাথে ওইদিন রাতেই মরে গিয়েছো ।
মেজরের মা কান্না করে এবং ছেলের জন্য কাঁদবে মরণ পর্যন্ত। মাননীয প্রধানমন্ত্রী ছেলে হত্যার সুষ্ঠু বিচার করবে ওয়াদা করেছেন । প্রিয় মা এখন ধৈর্য্য ধারণ করা ছাড়া আর কোন উপায় নাই আপনার , এই বাংলাদেশে। পিলখানায় ৫৭জন সেনা হত্যার বিচার হয়নি। আবরার হত্যার বিচার হয়নি। নারায়ণগঞ্জের ত্বকি ও টেন হত্যার বিচার হয়নি। তাইতো বিচার কাঁদে আকাশে বাতাসে।
ইলিয়াস আলী বিএনপির নেতা। কে বা কারা ধরে নিয়ে যে গেল আজও ফিরে আসেনি। অবশ্যই অনেক খুন গুম হয় এবং হয়তো ভবিষ্যতে আরো হবে। তবে যেসব খুন গুম দেশকে নাড়া দেয় তাদের একজন ইলিয়াস আলী। তার স্ত্রী সন্তান অনেক দেনদরবার করলো জীবিত ইলিয়াসকে ফিরে পাওয়ার জন্য। রাষ্ট্র আশ্বাসও দিয়ে ছিল কিন্তু সেটাও বছর হতে বহু বছর হলো ইলিয়াস আলী ফিরে এলো না। আর সবচেয়ে বড় সত্য ইলিয়াস আলী বিএনপির প্রভাবশালী নেতা। তার ফিরে আসার সম্ভাবনা আদৌ কি ?
তনুকে আপনারা মনে হয় ভুলে গিয়েছেন। এই মেয়েটাকে কুমিল্লা সেনা নিবাসে কুমির খেয়ে ফেলেছে। তবে খাওয়ার আগে দেহের উপরে বিকৃত নৃত্য দেশবাসী দেখেছে। আমরা অনেক কাঁদলাম পেপারে ও সামাজিক সাইডে। কি লাভ হলো কিছুই হলো না । তার মা বাবা সন্তান হারালো বিচার পেল না।
সিনহা , ইলিয়াস আলী ও সাগর রুনি আরো নাম না জানা মানুষের ভিড়ে অসংখ্য তনু যারা আকাশের তারা এখন। তনুর মা বাবা গ্রামের গরিব বলে ঢাকার রাজপথ অনেক আগেই নীরব হয়ে গিয়েছে। ইলিয়াস আলীর সন্তান আর সাগর রুনির সন্তান বড় হয়েছে সিনহার মাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে বলতে পারবে বিচারের আশ্বাস আমরাও পেয়ে ছিলাম।