নরেন্দ্র মোদী বিয়ে করার পর তার স্ত্রী যশোদাবেনকে ফেলে রেখে কোথায় যেন চলে যায়। তারপর উগ্র হিন্দুত্ববাদের দর্শন নিয়ে রাজনীতিতে আসে। এই হল পৃথিবীর বৃহৎ গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত জীবন। মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় গ্রামের অশিক্ষিত হিন্দুদের মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান যার ক্রমাগত বিবর্তনের বর্তমান রূপ- প্রধানমন্ত্রী। মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ আর বিশ্বাসকে মাটিচাপা দিয়ে দেশ শাসন করছেন মধ্যযুগীয় কায়দায়। তারই প্রমাণ দেখা যায় গো রক্ষা কমিটি সহ নানান ধরনের হিন্দু মৌলবাদী সংগঠনের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় যার ওপর বিজেপি সরকারের প্রত্যক্ষ মদদ সুস্পষ্ট। এছাড়াও এনআরসি, নাগরিক আইন, অহিন্দুদের বিতাড়নসহ নানান ধরনের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়িয়েই যাচ্ছেন।
উগ্র মৌলবাদী চেতনা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী উপমহাদেশকে ১৯৪৭ এর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। একজন লাইফলেস আঁতেল এবং ধর্মীয় বিষে ভরা একজন মানুষ যখন একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয় সেখান থেকে এই জিনিসটা স্পষ্ট যে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের আড়ালে সে দেশে কি পরিমান মানুষ এখনো অন্ধকার আর কুসংস্কারে নিমজ্জিত।
বিজেপি সরকারের বর্তমান কাজ কর্ম দেখে এই জিনিসটা স্পষ্ট হয় যে বাংলাদেশ সরকারের সাথে ভারতের বর্তমান সরকারের কোন ধরনের আদর্শিক মিল নাই। আর বাংলাদেশ-ভারতের সাথে এখন যা চলতেছে তা আসলে বন্ধুত্ব নাকি অন্য কিছু তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার যথেষ্ট সুযোগ আছে। বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে নানান ধরনের সুবিধা নেয় কিন্তু দেওয়ার বেলায় আমরা পাই শুধু আশ্বাস আর কথিত সম্মান।
আমার মনে হয় বাংলাদেশের এখনই সময় আবেগের যায়গা থেকে বের হয়ে নিজেদের স্বার্থের দিক ভাবা। রেডিক্যাল মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান থেকে আমরা স্বাধীন হয়েছি এখন রেডিক্যাল হিন্দু রাষ্ট্র ভারতের লোলুপ দৃষ্টি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আর এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের যথেষ্ট কারন আছে এবং উদ্বেগ কমানোর উদ্যোগ ভারতকেই নিতে হবে। আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বলদ বানানোর সুযোগ নাই। সম্প্রতি চালু হলো কথিত নাগরিকত্ব আইন যা সাম্প্রদায়িক বিষবাস্পে নতুন মাত্রা দিচ্ছে।