ইন্ডিয়ার হায়দারাবাদে নারী ডাক্তারকে হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৪ অপরাধীকেই পুলিশ দ্রুত সময়ে সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ তাদের নরকে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমাদের দেশের কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে তনু ধর্ষণ হত্যার ৪ বছর পার হল এখন অপরাধীও শনাক্ত বা গ্রেফতার হয় নাই। অনেকেই হয়ত তনুকে ভুলেই গিয়েছে। ইংলিশে একটি প্রবাদ রয়েছে "Justice delayed is justice denied." তনুর থেকে নুসরাত কিছুটা ভাগ্যবান অপরাধীরা নিম্ন আদালতে শাস্তি পেয়েছে তবুও এরপর উচ্চ আদালত, আপিল বিভাগ সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির দফতর।
অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য কত নিয়ম অথচ রাষ্ট্র যদি ভিকটিমদের নিরাপত্তার জন্য চিন্তা করত! আজও স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে জানিনা বিচার হবে কি'না। কিছুদিন আগেই দেখলাম ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা করে ১৮ বছর সাজাখাটা আসামি সাজ্জাত ছাড়া পেয়ে আবার মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যা করে গ্রেফতার হয়েছে।
একটা নরকীয় ঘটনা ঘটার পর কেন বিচার চাইতে হয়! এসব নরকীয় ঘটনা যেন না ঘটে সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র কি কোন ব্যবস্থা নিতে পারে না? অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ভিক্টিম আগ থেকে থানায় জিডি করেও রক্ষা পান না। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করবার পরও যখন কেউ নিরাপত্তা পান না তাহলে জিডি করেই বা কি লাভ? ছোট বেলা থেকে পড়ে এসেছি "প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিউর" "প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম" তাহলে রাষ্ট্র কেন নাগরিকদের বিপদের পূর্বেই রক্ষা করবার চেষ্টা করছে না?