বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প-বানিজ্যের প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক বীমা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলোতে আওয়ামিলীগ তাদের লুণ্ঠনকার্য পরিচালনায় মোটেও আগের চেয়ে পিছিয়ে নয়। তাদের গতি বরং দিনদিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে। হাতেগোনা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান লুণ্ঠনের পাশাপাশি উন্নয়ন খাতে চলতে থাকা আওয়ামিলীগ সরকারের লুণ্ঠনকার্যের পরিমাণ কিছুটা হলেও তারা কমিয়ে আনতে পারতো। কিন্তু তারা বরং সেগুলো কিভাবে নিজেদের সুবিধানুযায়ী ব্যবহার করা যায় তা নিয়েই ব্যস্ত। তাদের অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, দেশটা তাদের পৈতৃক সম্পদের উচ্ছিষ্টাংশ।
আওয়ামী সরকার নিজেদের অবস্থানকে এতোই পাকাপোক্ত করে রেখেছে যে, গণতান্ত্রিক পন্থায় আপনি আমি আমরা যে বা যারা তাদের বিরুদ্ধে গঠনমূলক সমালোচনা করার চেষ্টা করি তারাই শিকার হই রাষ্ট্রদ্রোহিতার খেতাবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তো জিহবা কর্তনে আওয়ামী সরকারের একটি উপকারী কৌশল। যা তাদের দূর্নীতিকে এগিয়ে নিতে বড়ই সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।
আমাদের ব্লগারেরা প্রায় সবসময়ই গল্প, কবিতা, প্রবন্ধের মাধ্যমে উন্নয়নের খোলসে চলতে থাকা স্টিমরোলারের যন্ত্রনার কথা ফুটিয়ে তুলেন। আমি তাদের মত পারি না। সে কারণে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে অনেক হুমকিধামকি শুনতে হয়েছে। আক্রমণের শিকারও হয়েছি অনেকবার। পাগলা কুকুরকে আপনি যদি খাবার দেন তবেই ঠাণ্ডা। কিন্তু একটি রাষ্ট্রের জন্য এই কুকুরগুলোই ধ্বংসের মূল কারণ। রাষ্ট্রের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়।
আওয়ামী সমর্থকদের বর্তমান অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, তাদের প্রভুদের এই লুণ্ঠনকার্যকে কৃতিত্বার্জনের সীমানা বৃদ্ধি ভেবে নিরবে সমর্থন করছেন। যদি আমার কথাগুলো কোন আওয়ামী সমর্থকের গায়ে লাগে, তবে বুঝতে হবে এখনো আপনার ভেতর যথেষ্ট দেশ প্রেম বর্তমান আছে। আপনি চাইলেই নিজের অবস্থান থেকে কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করনে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারেন।