01 April 2021

পাশে থাকলে সঙ্গী, আর রাস্তায় নামলে জঙ্গি?

দেশের গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়ে বারবার হেফাজতের সাথে আপোস করে অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার সময় মনে হয়নি দেশের নিয়ন্ত্রণ ক্রমশ উগ্রপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে যাচ্ছে। যেখানে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ হবে, গণতন্ত্র ও মানুষের বাকস্বাধীনতা খর্ব হবে, সেখানেই উগ্রবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদের উত্থান হবে, এটা খুব কমন কথা।


মধ্যরাতে ভোট ডাকাতির যে একটা ফল বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছে তার অশনিসংকেত এতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। একদিকে কাওমী জননী, অন্যদিকে তাদের গুলি করে হত্যা! তারা এদেশেরই নাগরিক, তাদের জীবনের মূল্য নেই কেন? গুলি করা ছাড়া দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি কোনকিছুই নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা নেই?কথায় কথায় গুলি কি সকল কিছুর সমাধান?

এক মোশতাক কারাগারে মারা যাবার পর সারাদেশে আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে। আমিও সরব ছিলাম, কিন্তু ২০ জন যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হলো অনেককে চুপ থাকতে দেখেছি। কেন মাদরাসার ছাত্ররা কি মানুষ না? এখন কাওমী জননী ও তাদের দলের লোকদের কাছে আবার হেফাজতের নেতাকর্মীরা খারাপ হলো কিভাবে?

মাদরাসায় পশু জবাইয়ের জন্য ব্যবহৃত দেশীয় ছুরি পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রায় সব হুজুরকে কম বেশি পশু জবাই করতে দেখা যায়। তবে নিজ দলের কর্মীদের হাতে যে মরনাস্ত্র বন্দুক তুলে দিয়েছেন তার বিচার আগে করতে হবে, তারপর না হয় এই ছুরি রাখার অপরাধের বিচার করা যাবে।