আগে একটা সময় ছিল, মানুষ পারত পক্ষে আদালতের চৌকাঠ মাড়াত না। বছরের পর বছর গ্রামে পুলিশ আসতো না। আসার প্রয়োজন পড়তো না। কোন ঘটনা ঘটলে নিজেরাই মিটমাট করে নিতো। তা না হলে চৌকিদার ই ছিলো গ্রামের আইন আদালতের মাথা। তারাই রাতকে দিন দিনকে রাত বানিয়ে সব মিটমাট করে নিতো। কিন্তু কোন কারণে যদি একবার গ্রামে পুলিশ আসতো চারিদিকে দৌড় ঝাপ, হই হুল্লা পালাও পালাও শুরু হয়ে যেতো। পুলিশের ভয়ে পানিতে লাফিয়ে পরে মারা যাওয়ার ঘটনাও কম ঘটেনি ।
তাই বলে কি গ্রামে মারামারি, চুরি-ডাকাতি, খুন, জখম হতো না? হতো। সবই হতো। তখন বরং আজকের দিন থেকে চুরি, ডাকাতি খুন জখম একটু বেশিই হতো। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিজেরাই আপোষ রফা মিটমাট করে নিতো। কেবলমাত্র খুন খারাবি আর ঘর পোড়ানোর হলেই মানুষ আদালতে যেতো। মামলা করতো। এরপর শুরু হতো তারিখের পর তারিখ দিনের পর দিন আদালতে ধন্না দেওয়া। এই করতে করতে জীবন শেষ হয়ে যেতো। এ ভয়েই পারত পক্ষে কেউ পুলিশ বা আদালতে যেতো না। আর এখন একি যুগ এলো রে বাবা? কথায় কথায় মানুষ সত্য, মিথ্যা মিলিয়ে মামলা করছে। কারো সাথে শত্রুতা, একটু টাইট দিতে হবে? হয় হামলা করো না হয় মামলা দিয়ে শায়েস্তা করো।
এই তো নিউজ দেখলাম, মামলা করাকে অনেকে পেশা হিসাবে নিয়ে দিব্যি ভুয়া মামলা করে চেলেছে। এদের রয়েছে দেশ ব্যাপী বিশাল নেটওয়ার্ক। ভেবে পাইনা মানুষ এতোটা নিচে নেমে যাচ্ছে কি করে? এতো অবক্ষয়ের কারণ কি?