সম্প্রতি আল জাজিরা একটা ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছে। যেখানে দেখানো হয়েছে মোহাম্মদপুরের রাস্তা থেকে উঠে আসা এক গুন্ডা কিভাবে দেশের সেনাপ্রধান এবং তার খুনি ও গুন্ডা ভাইয়েরা সরকারি মদতে একটা মাফিয়া চক্র গড়ে তুলেছে। জেনারেল আজিজ তার পদের ক্ষমতায় তার মোষ্টওয়ান্টেড দুই ভাইকে পিউরলি রিসেটাপ করছে। সে বহু ডকুমেন্ট জাল করে কমিশন বানিজ্য ও অবৈধ টাকা পাচার করতে ইউজ করছে এদেরকে। আর এই দুই ভাইর একজন হারিস আবার পুলিশ সহ সবাইরে ইউজ করছে পাড়ার পাতি গুন্ডার মত।
এই আজিজ গং কে বর্তমান মাফিয়া রুপ দেওয়ায় সবচেয়ে বড় পেট্রোন হচ্ছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা! এতে কিছু মানুষ খুব ক্ষিপ্ত হয়েছেন। ক্ষিপ্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। এরা পীরের মতন যে পার্টিকে মানে, নিজের পরিবারের চাইতেও বেশি বিশ্বাস করে যে পার্টিকে, তারা যখন এমন আকাম কুকাম করে ধরা খায়, ক্ষেপাটা দোষের কিছু না। সমস্যা হচ্ছে, এই ঘটনায় কারোর কারোর মাথার তারও প্যাঁচিয়ে গেছে। কি আবোল তাবোল বকছে আল্লাহ মালুম।
এই অভিযোগের জবাব আওয়ামীলীগ, সংবাদমাধ্যম ও আওয়ামীলীগের আজ্ঞাবহ লোকজনসহ পূর্ণ রাষ্টযন্ত্র দিচ্ছে এভাবেঃ
- সামি আগে এডিক্টেড ছিল...
- সামিকে ক্যাডেট কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হইসে...
- লন্ডনে পাচশ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দিয়া এটা বানানো হইসে...
- আল জাজিরা কাতারের রাজতন্ত্র নিয়া কেন কথা বলে না...
- উন্নয়নকে বাধা দেওয়ার জন্য এটা বানানো হইসে... ইত্যাদি, ইত্যাদি।
কিন্তু মূল অভিযোগের ধারেকাছ দিয়া কেউ যাচ্ছে না!
এই প্রতিবেদনে নতুন কিছুই দেখায়নি। এইসব স্বজনপ্রীতির জোরে লুটতরাজ আমাদের দেশের নিয়মিতই ঘটনা। বেগম খালেদা জিয়া একবার বলসিল এই আওয়ামিলীগ থেকে একসময় পচে গলে দুর্গন্ধ বের হবে। দুর্গন্ধ এখন সত্যিই বের হচ্ছে! দেশে বিদেশে একসাথে বের হচ্ছে আর রাষ্ট্র চেষ্টা করতেছে এক শিশি আতর ছিটায়া এক পুকুর গু'এর গন্ধ ঢাকা দিতে! দেখার বিষয় একটাই - রাষ্ট্র স্বয়ং কতদিন তার গায়ের উপর এই গন্ধযুক্ত আবর্জনাটাকে সহ্য করে যায়।