22 January 2021

আমাদের জেল কোডে পরিবর্তন আনা দরকার

কয়েকদিন আগে পত্রিকায় লিড নিউজ দিল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সি সি টি ভির দুটি ছোট ভিডিও ভাইরাল হল। ওখানে জেলখানার সদর দরজায় একজন মহিলা এক রুম থেকে আরেক রুমে যাচ্ছে। রুমগুলো সাব জেলার ও কর্মকর্তাদের বলা হচ্ছে। বাকি বিষয় ছাপার অক্ষরে এসেছে। মহিলা কোন রুমে কার সাথে কয় মিনিট সময় কাটিয়েছে তার বর্ণনা দেয়া আছে। এখানে জেলের আসামি সুবিখ্যাত হল মার্কের জেনারেল ম্যানেজারকে বেশ সক্রিয় দেখা গেল।


জেলখানায়, বিশেষ করে কাশিমপুর জেলে, কয়েদি মহিলাদের যৌন কর্মে ব্যাবহারের অভিযোগ আগেই উঠেছে। সাবেক এক প্রধান বিচারপতি যোগদানের পরই এই অভিযোগ তদন্ত করতে জেলখানায় যেতে চেয়েছিলেন। অদৃশ্য নির্দেশে তার ভ্রমন বাতিল হয়েছিল। জেলখানার মহিলা কয়েদি মুক্তি পেল তবে কোলে একটি শিশু। এরকম অসংখ্য খবর আমরা পড়ে থাকি। কিন্তু কেন এবং কিভাবে তা সম্ভব হয়েছে তা গলা টিপে বন্ধ রাখা হয়।

জেলখানায় শাস্তিপ্রাপ্ত কয়েদিরা দীর্ঘ সময় থাকেন। আমাদের জেল কোডে কয়েদিদের জৈবিক চাহিদা মেটানোর কোন ব্যাবস্থা নেই। যাদের টাকার পাহাড় আছে তারা একটা বন্দোবস্ত করে নেন। সাধারন কয়েদিরা আপসে সমকামিতা বা হস্তমৈথুন করে স্বাদ মেটান। কাশিমপুর জেলখানার ঘটে যাওয়া ঘটনা চাপা পড়ে গেছে। সম্ভবত ফুটেজ সরবরাহকারি এরকম ভেবে ছড়িয়ে দিয়েছেন যে একটা পরিবর্তন আসুক। 

এক লোক ১৮ বছর জেল খেটে মুক্তি পেল। কিন্তু প্রথম রাতেই স্ত্রী সম্ভোগে সে ব্যার্থ হল। খুব দুঃখজনক ঘটনা বটে। দীর্ঘ জেল খাটা মানুষের সমকামিতায় গ্রাস করে। এটি আরেক ধরনের অসুখ। তাই আমাদের জেল কোডে পরিবর্তন আনা দরকার। বিবাহিত কয়েদীদের ব্যাবস্থা থাকা উচিত নিজ স্ত্রীর বা স্বামীর সাথে মিলনের।