স্বনির্ভর জাতি, টেকসই উন্নয়ন, আর চ্যালেঞ্জিং বিশ্বে নিজেদেরকে দাঁড় করাতে চাইলে আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য অবশ্যই যোগ্য নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সল্প সম্পদ আর নানান সমস্যায় ডুবে থাকা এই দেশটির জন্য যোগ্য নেতৃত্ব অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর যোগ্য নেতৃত্ব বাঁচাইয়ের একমাত্র পথ হল উন্মুক্ত গনতন্ত্র।
কিন্তু স্বাধীনতার প্রায় অর্ধশতাব্দী পার হতে চললেও আমরা কি সেই কাঙ্ক্ষিত গনতন্ত্রের দশ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছি? মোটেও না। গনতন্ত্র শব্দটি উচ্চারণ এখন যেন অপরাধের মত! বাকস্বাধীনতা, গনতন্ত্র নিয়ে এখন একটু উচ্চ শব্দ করলে আড় চোখে দেখে প্রশাসন। কখনো বন্দুকের নল তাক হয় বুকের পাঁজর বরাবর। জীবন বাঁচাতে আমার মত অনেকে ছেড়েছে নাড়ীর টান, রেখেছে পা বিদেশ ভূমিতে।
নানা চড়া উৎরাই যখন ৯১ নির্বাচনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত গনতন্ত্রের পথে পা রাখলো দেশ। তখন অনেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল কিন্তু গত দুই নির্বাচনে এ জাতি আবার হারালো পথ। দোষ কার, কত বেশি তা নিয়ে তর্ক করছি না। তবে আমরা গনতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, মানবিক মূল্যবোধ, জবাবদিহি প্রশাসন, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় দিনকে দিন পিছিয়ে যাচ্ছি এ কথায় নিশ্চয়ই দ্বিমত করবেন না?
একুশ শতকের তৃতীয় দশকে আমরা পর্দাপন করেছি। এখন আমাদের আলোচনা নিদেনপক্ষে পরিবারতন্ত্রের বাহিরে আসার পদক্ষেপ নিয়ে হওয়ার কথা। ঠিক তখন আমাদের আবার নতুন করে শুরু করার জন্য প্রস্তুত হতে হচ্ছে! কে দায়ী, কারা দায়ী তা একদিন ইতিহাস বিচার করবে।
আজ দুইটি ভিডিও দেখলাম সংসদ অধিবেশনের। ভিডিও দেখে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম! সংসদে কিভাবে বিল উথ্থাপন করতে হয় জানে না! স্পীকার বলে দিলেও ঠাঁই দাঁড়িয়ে তিনি প্রতিমন্ত্রী! আর একজন সংরক্ষিত এমপি দেখে বাংলা পর্যন্ত পড়তে পারছে না! এদের বিকল্প কি সত্যিই এ দেশে নেই?