ল্যাপটপে বিভিন্ন ধরনের পত্র-পত্রিকা পড়া হয়। কালেরকন্ঠ পত্রিকায় একটি লেখা পড়ে রীতিমতো শিউরে উঠলাম। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এক ১১ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। বুঝতে পারছিনা ইদানীং এতো ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে কেনো? কোথায় যাচ্ছে সমাজ? সমাজের লোকজনেরা মূল্যবোধকি একেবারেই হারাতে যাচ্ছে? সমাজে মূল্যবোধ না থাকলে সেই সমাজ যে একেবারে অধঃপতনে গিয়ে ধ্বংস হয়ে যায় সেটা কি কেউ বুঝেনা? আর এই মূল্যবোধের শিক্ষাটা আসে পরিবার থেকে। পরিবারের পিতা-মাতার কাছ থেকে শিক্ষা না পেলে ছেলেমেয়ের চরিত্র কখনই ঠিক হবেনা।
চরিত্র গঠনের শিক্ষাটা অন্য কেউ শিখিয়ে দেবে না এটি বাবা-মায়ের কাছ থেকেই আসতে হবে। এর জন্য আবার অনেকে বলতে পারে পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকলে এসব শিক্ষা কোথা থেকে আসবে? এসব একেবারেই ভুল কথা। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলেই যে খারাপ হবে বা ধনী পরিবারের সন্তান হলেই যে ভালো হবে সেটা কিন্তু ভাবাটা ঠিক নয়। সামাজিক মূল্যবোধটা পরিবার থেকেই আসতে হবে সেটা ধনী পরিবার হউক বা গরীব পরিবারই হোক।
ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযুক্তরা হলো, সোনারগাঁ থানার আলীরচর এলাকার মৃত এমদাদুল হক পারভেজের ছেলে মো. নাছির (১৯), ভোলা চরফ্যাশন থানা এলাকার মৃত হাসমত আলীর ছেলে এনায়েত হোসেন (১৬), যশোর জেলার কোতয়ালী থানা একালার ইসমাইল গাজীর ছেলে উজ্জ্বল (১৫) এবং পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানা এলাকার সুলতানের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৬)। চিন্তা করতে পেরেছেন একেকটা বাচ্চার বয়স কতো কম! কিশোর বয়সের ছেলেরা যেখানে পড়াশুনা, খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে সেখানে তারা এসব ন্যাক্কারজনক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। এসব দায়ভার অবশ্যই ওদের পিতা-মাতাকে নিতে হবে। কি শিক্ষা দিয়েছে তাদের ছেলেকে?