করোনা ঠেকাতে মক্কা বন্ধ, আর আমাদের এখানে মসজিদে জমায়েত করে মোনাজাত চলছে! ওয়াজ করতে না দিলে হুমকি চলছে! স্কুলও খোলা। দোহাই লাগে, স্কুল-কলেজ বন্ধ করুন৷আর এই করোনা-পরিস্থিতিতে যাঁরা ক্লাস টেস্টের তারিখ দিয়ে রেখেছেন, সেসব বেকুব শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়ে রাখছি।
আচ্ছা যদি মন্ত্রী মহোদয়েরা করোনায় আক্রান্ত হন তাহলে কোন দেশে চিকিৎসা করাতে যাবেন ? নাকি দেশেই চিকিৎসা করাবেন? ওনারাতো আবার দেশে চিকিৎসা করান না। এদিকে দেশে দেশে ফ্লাইট বন্ধ হচ্ছে। মহাবিপদে পড়ে যাবেন যে।
এই যে সচেতনতার কথা বলা হচ্ছে এসব কি দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষজন জানে? যারা রাস্তাঘাটে কফ থুতু ফেলে তাদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির কোন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে? আমার যদি সামর্থ্য থাকত তবে এই মুহূর্তে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিনামূল্যে বিতরণ করতাম।
রেমিট্যান্স এর সাথে ভাইরাসও আসতেই পারে। সাবধানে থাকতে অসুবিধা কি? মাস্ক হোক আর ওষুধ হোক, অথবা যা-ই হোক। মানুষের বিপদে কিংবা দুর্দিনে ৮ টাকার জিনিস ৮০ টাকায় বিক্রি করাকে ব্যবসা বলে না। ওটা ডাকাতি, প্রতারণা। প্রতারণায় মুনাফা করা অর্থ একজন ব্যবসায়ী কাকে খাওয়াবে? তার পরিবারকে? কিংবা তার সন্তানকে?
প্যানিক ছড়ানো বা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। স্বাভাবিক জীবনযাপন করুন। যদি এখানে করোনার রোগী বাইরে থেকে ভাইরাস নিয়ে আসেও আর তাপমাত্রা এমনই থাকে তাহলে ভাইরাস প্রাকৃতিকভাবে নির্মূল হয়ে যাবে। তবে নিজেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। পরিবার-পরিজন সবাই সুস্থ থাকুন। সচেতন হোন, ভালো থাকুন, আল্লাহ্ ভরসা।