05 February 2020

অনাকাঙ্খিত, অদক্ষ, অনাদরে নির্বাচিতদের ভবিষ্যত

বাংলাদেশে শতকরা ২০/২৫ ভাগ ভোটে নির্বাচিতদের 'অনাকাঙ্খিত' ডাকলে ভুল হবে না; নব নির্বাচিত ২ মেয়রই অদক্ষ: গত ডেংগুর সময় মেয়র আতিক কোন সঠিক পদক্ষেই গ্রহন করতে পরেনি তার এলাকায়; এবং পিলখানা হত্যাকান্ড ঘটার আগে বিডিআর'রা তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য এলাকার এমপি তাপসের কাছে গিয়েছিলো, সে মাথামুন্ড কিছুই বুঝেনি, কিছুই করতে পারেনি। এরা আগামী ৫ বছর মানুষের ঘৃণার পাত্র হিসেবে দিন কাটাবে।

এখন ঢাকা শহরের বড় সমস্যা হচ্ছে: বেকারত্ব, ভাড়ী ভাড়া, ডেংগু, বস্তি, খাদ্যে ভেজাল, খাদ্যে কেমিক্যাল, দলের লোকদের ও কাউন্সিলরদের মাদক ব্যবসা ও কন্ট্রাকটারী, রাস্তা কেটে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, কনষ্ট্রাকশনের কারণে নিয়ন্ত্রণহীন ধুলাবালি, চিকিৎসার নামে হাসপাতালগুলোর ডাকাতী, সরকারী দলের ভুমিদস্যতা, আবর্জনায় নিমজ্জিত শহর, প্রাইভেট স্কুল ও কলেজের ডাকাতী, ইত্যাদি ইত্যাদি।

মেয়রদের সবচয়ে বড় দায়িত্বের মাহে থাকে পরিকল্পিত শহর, পরিস্কার রাস্তাঘাট, শহরের দুষণ কমানো, মানুষের সিকিউরিটি, আগুন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ম্যানেজমেন্ট, পানীয় পানির ব্যবস্হা, ফুটপাথ ও নালা নর্দমা নির্মাণ ও সুরক্ষা; এগুলোর ব্যাপারে নির্বাচিত মেয়রদ্বয় কোন ধরণের প্ল্যানের কথা বলেনি; ওদের বেশীরভাগ প্রতিশ্রতি ছিলো অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে। তাপসের অভিজ্ঞতা এত কম যে, ঢাকার মতো ভয়ংকর শহরে সে একজন কাউন্সিলার হওয়ার মতোও দক্ষ নয়। আতিক গতবার প্রমাণ করেছে, সে কেহ নয়।

এরা ঢাকাবাসীকে আগামী ৫ বছর আরো নিগ্রহের মাঝে টেনে নিবে, ঢাকা শহর আরো সমস্যার মাঝে ডুবে যাবে, মানুষের কষ্ট বাড়বে, ঢাকা পরিবেশ আরো নষ্ট হবে, ঢাকার লোক সংখ্যা আরো বাড়বে, শহর বাড়বে ক্যান্সারের মতো; যেই ৮/৯ শত লোকজন নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো, এদের অনেকই ভয়ানক রোগের শিকার হবে।