গত কিছু বছর একটা জিনিস প্রায় লক্ষ করছি তা হলো আপাত দৃষ্টিতে যা সাধারণ মানুষের চোখে ভালো তার অনেক কিছুই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছাডা হচ্ছেনা। এটি কি রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণ নাকি অকল্যাণ তার বিশদ ব্যাখ্যায় আপাতত যাচ্ছিনা। তবে এখানে কিছু উদাহরণ দেয়ার চেস্টা করবো।
আসুন কিছু ঘটনা দেখিঃ
১. মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার দ্রুত বিচার এর কথা বলেছেন তাই বিচার দ্রুত হয়েছে।
২. ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের আদেশ দিয়েছে তাই অভিযান হচ্ছে
৩. আবারার হত্যা কারীদের গ্রেফতার এর কথা বলেছেন, নিউজে দেখেছি সে সময় বুয়েট ভিসি জনাব কাদের সাহেবের সাথে কথা বললে উনি ভিসি কে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে বলেছেন।
৪. শেয়ার বাজার নিয়ে কিছুদিন আগে বলার পর আপাতত শেয়ারবাজার ফুলে আছে
৫. চীনে আটকা পডা ছাত্রদের ফিরিয়ে আনার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলে, তাই আনা হয়েছে।
৬. সর্বশেষ আজ জনাব কাদের সাহেব বললেন যুবলীগের খ্যাতিমান নেত্রী পাপিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
এবার দেখুন বিপরীত চিত্রঃ
১. হত্যাকাণ্ডের আসামী গ্রেফতারের জন্য এবং দ্রুত বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ইশারা লাগবে তাই বরগুনার রিফাত হত্যা নিয়ে পুলিশ আর দলীয় লোক নিজেদের মতো করে সব করতেছে। মিডিয়াতে যাদের নাম এসেছিলো, যাদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় এ নয়নবন্ডরা বাডন্ত তারা আইনের বাহিরে।
২. আবরার হত্যায় প্রধানমন্ত্রী দ্রুত বিচারের কথা বলেন নাই তাই আবরারের বাবা দ্রুত বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
৩. চীনের আটকদের আনতে প্রধানমন্ত্রীর আদেশ লাগে কিন্তু আরো ১৭০ জন কে যে না আনার ঘোষনা দিয়েছেন তাহলে তাও কি প্রধানমন্ত্রীর মানা!?
৪. পাপিয়ার বিষয়ে দল সরকার সবাই জানত যেহেতু প্রধানমন্ত্রী আদেশ দেন নি তাই এতোদিন গ্রেফতার হয়নি।
প্রশ্ন হলো দেশে আইন আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনি আছে, কেউ অপরাধ করলে আইনের গতিতে তা চলবে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগ তা দেখবে এবং ব্যবস্থা নিবে। কিন্তু বর্তমান অবস্থাদৃষ্টে বুজা যাচ্ছে কিছু করতে হলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ লাগবে।