14 August 2016

ফুলের টবে গাঁজা চাষ - ছাত্রলীগ নেতার নতুন কীর্তি

পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ছাত্রলীগ নেতা ফুলের টবে গাঁজা আই মিন গাঁঞ্জার চাষ করছেন! নিউজটা বেশ ইন্টারেষ্টিং। ফুলের টবে গাঁজার চাষ, এতো বিশাল মাপের ইনভেনশন। এর আগে সোনার ছেলে মানিক ধর্ষণের সেঞ্চুরি করে সবাইকে তাক লাগিয়েছিলো। এবার সেই সেঞ্চুরিকেও হার মানালো এই দুই সোনার ছেলের উদ্ভাবিত পদ্ধতি! এটা শুধু নতুন পদ্ধতির উদ্ভাবনই নয়, গাঁঞ্জাঙ্গণে প্রচলিত একটি গানের রহস্যেরও উন্মোচন! নিশ্চই সোজা কোনো বিষয় নয়।

কেউ কেউ নাক সিঁটকাচ্ছেন জানি। কিন্তু আমি বুঝিনা কেনো আপনারা নাক সিঁটকাচ্ছেন। আরে বেটা গাঁজাও তো একটি গাছ নাকি? তুমি বেটা কয়টা গাছ লাগিয়েছো শুনি? ওরা শুধু গাছাই লাগায়নি। এই গাছের কিভাবে পরিচর্যা করতে হয়, কিভাবে এই গাছকে ব্যবহার করতে হয় সেটাও দেখিয়ে দিযেছে!! কারন সংবাদ মারফত জানা যায়, তারা প্রায়ই রুমে গাঁজার আসর বসাতেন।

গাঁজার চাষের নতুন পন্থা উদ্ভাবনকারী একজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক। উপ আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক হলেও বুঝতাম তিনি সহকর্মীদের আপ্যায়নের জন্যই গাঁজার চাষ করছেন। কিন্তু ত্রাণ সম্পাদক হয়ে গাঁজার চাষ উদ্ভাবন দেখে অবাকই হলাম। হয়তো দপ্তর বন্টনটা ঠিক হয়নি, নয়তো অন্য কিছু! তবে এই ছাত্রলীগ নেতা ফুলের টবের গাঁজার গাছকে ঔষধি গাছ বলে দাবি করেছেন। সোনার ছেলেদের চিকিৎসাও কি গাঁজার মাধ্যমেই হয় তাইলে? নইলে গাঁজাকে ঔষধি গাছ বলবে কেনো? মাননীয় সরকারের কাছে গাঁজাকে ঔষধি গাছ হিসেবে স্বীকৃতির অনুরোধ জানাই। সোনার ছেলেদের আবিষ্কার বলে কথা!

এখন নিশ্চই বিসিএসে নিয়োগে শুধূ শরীরের কাটা দাগ দেখলেই হবে না, মুখে গাঁজার গন্ধ আছে কিনা সেটাও দেখতে হবে। গতকালকে আরেকটা নিউজ পড়লাম “মেয়াদোত্তীর্ণ সিগারেট বিক্রি, ছাত্রলীগ নেতার জরিমানা”! ছাত্রলীগ যদি এভাবে গাঁজা, সিগারেটের ব্যবসায় নেমে পড়ে তাহলেতো মুশকিল! তবে একটা বড় সুবিধে পাওয়া যাবে, সেটা হলো সোনার ছেলেরা গাঁজা আর সিগারেটে মত্ত থাকলে কোপাকোপি গোলাগুলিটা কম হবে। আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।