09 August 2016

বাকশাল কায়েম হবার আর কত দেরি?

বর্তমান সরকারের সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনা মূলত আমারদেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে দিয়েই শুরু হয়। সাংবাদিকদের মাঝে একটি প্রচলিত রীতি রয়েছে যে, সাংবাদিক হবে বাম আদর্শের! কিন্তু এই মাহমুদুর রহমান বাম আদর্শের ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন ধর্মভীরু মানুষ। আর ধর্মভীরুতার কারণে বাংলাদেশের জাতীয় পত্রিকাগুলোর সম্পাদকরা কোন প্রতিবাদ করেন নি। কারণ মাহমুদুর রহমান তাদের বাম আদর্শের জ্ঞাতি ভাই ছিলেন না। সেই সময় অনেককেই বগল বাজাতে দেখেছি। আর এখনো কেউ কেউ সরকারকে পুরনো কাসুন্দি মনে করিয়ে দিয়ে বগল বাজিয়ে সরকারের নেক নজর আদায় করেন।

এরপর আলোচিত ব্যক্তিদের মধ্যে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গ্রেফতার করা হল। কিন্তু বরাবরেই মতই আমাদের পত্রিকার সম্পাদকরা নিশ্চুপ থেকেছেন। সরকারের সমস্ত কাজে নীরব সম্মতি জানানোর মত মাহমুদুর রহমান মান্নার বেলাতেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করেন। বিশিষ্ঠ সাংবাদিক শওকত মাহমুদ কিছুদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। কিন্তু তার আগে ছয় মাস জেল খাটতে হলো। প্রেসক্লাবের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে গ্রেফতার করা হলো তারপরো কোন সাংবাদিক কিংবা সম্পাদক জোরালো প্রতিবাদ জানালেন না।

আর এইতো সেদিন, বিশিষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হলো। তিনি নাকি বাংলাদেশে বসে নিউইয়র্কে বসবাসরত প্রধানমন্ত্রী পুত্রকে হত্যার পরিকল্পনার করেছেন। এরকম এ্কটি ঠুন্ক অভিযোগে এই প্রবাীণ সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হলেও কোন পত্রিকা থেকে প্রতিবাদ করা হয় নি। সাংবাদিকদের মাঝ থেকে প্রতিবাদ করা হয় নি। চলমান সপ্তাহেই কোন কারণ ছাড়াই ৩৫ টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেয়া হল।

গতকাল একটি হাস্যকর অভিযোগে বাংলা মেইল পত্রিকার সম্পাদক এবং সহকারী সম্পাদকসহ তিনজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের পত্রিকাওয়ালা যেমন আচরন করে এই গ্রেফতারকৃতদের বেলাতেও সেরকমই আচরন করছে। বরঞ্জ এদের বেলাতে কোন কথাই বলতে চাচ্ছে না। প্রথম আলোকে দেখলাম খুব ছোট্ট করে নিউজ করেছে। বাংলামেইল সম্পাদককে যেমন কারো বেলায় প্রতিবাদ করতে দেখিনি আজ তার জন্যও প্রতিবাদ করবার কোন মানুষ নেই। এ যনে নায়মোলারের অনুশোচনার সঙ্গে মিলে যায়। কিন্তু আমার সন্দেহ হয়,দালালী করা যাদের স্বভাব তাদের ভিতরে কি কোন অনুশোচনা জাগবে?