05 July 2016

জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ হোক আমাদের নিজস্ব প্রচেষ্টায়

বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাত্রাতিরিক্ত আগ্রহ নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত। সবার মতো আমিও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ চাই। কিন্তু এই জঙ্গি ইস্যু যেন বাংলাদেশকে কোন তাবেদার রাষ্ট্রে পরিনত করার হাতিয়ারে পরিণত না হয়। আজ আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন জঙ্গি কার্যক্রম প্রতিরোধে প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নেবে সরকার। একই সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে।

আচ্ছা যখন আমাদের কথিত বন্ধু দেশে হামলা হয়েছিল তখন কি তারা আমাদের সাহায্য নিয়েছিল? কিংবা তাদের জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের ক্ষমতা আমাদের চেয়ে খুব বেশি? আমার তো তা মনে হয়না। তাহলে কেন তাদের সাহায্য আমরা নিবো? তারা যদি আমাদের সাহায্য না পছন্দ করে তবে কেন তাদের বাহিনীকে আমরা আমন্ত্রন জানাচ্ছি?

এখন আমরা কি ধারনা করতে পারছি কি হতে চলছে? অ্যামেরিকান ড্রোন অথবা ইন্ডিয়ান আর্মি আমাদের দেশে যখন তখন কথিত সহায়তার নামে যেকোন স্থানে হামলা চালানোর অনুমতি পেতে যাচ্ছে। খাল কেটে কি আমরা কুমীর আনছি আমাদের দেশে? সাহায্যের নামে কি ধ্বংসস্তুপে পরিনত হবার ভয় নেই আমাদের? আর অন্যদিকে গুলজার আহাম্মেদ আর বাবুল আক্তারদের মতন সৎ জঙ্গি বিরোধী অফিসারদের জন্য শুধুই এক বুক হতাশা!

আমি মনে করি এর থেকে আমাদের সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ টীমের সহায়তায় জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সেল গঠন করলে বরং আমাদের ভাল হবে। কারন আমাদের সেনারা মোটেও অদক্ষ নয়। তাদের দক্ষতার প্রমান তারা বিশ্বব্যাপি দিয়ে এসেছে। সুতরাং আমাদের সেনাবাহিনীর সাহায্য নেওয়া হোক আমাদের দেশের জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে। আর অহেতুক খাল কেটে কুমির ডেকে আনবার কোন কারন দেখি না।