27 May 2016

ট্রানজিট নাকি ভিক্ষা?

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে গেলে কলকাতা থেকে আগরতলার দূরত্ব হবে ৬৪০ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ পথে প্রতি টন পণ্য পরিবহণে ভারত দিবে মাত্র ১৯২ টাকা। মনে রাখবেন, ১ টন = ১০০০ কেজি। অর্থাৎ, ৬৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য প্রতি কেজি ভারতীয় পণ্য দিবে ২০ পয়সারও কম।

এবার দেখে নেই আমাদের দেশের নানা সেতুর টোল বাবদ বাংলাদেশের মানুষকে কত টাকা দিতে হয়।
১। যমুনা সেতু
মোটরসাইকেলে ৫০ টাকা, প্রাইভেট গাড়ি ৫০০ টাকা, মিনিবাস ৬৫০ টাকা, বড় বাস ৯০০ টাকা, মিডিয়াম ট্রাক এক হাজার টাকা ও বড় বাসে ১৪০০ টাকা। যমুনা সেতুর দৈর্ঘ্য মাত্র ৪.৮ কিমি।
২। বুড়িগঙ্গা সেতু
ট্রাকের জন্য ৬০০ টাকা। বাসের টোল ২৭০ টাকা। মাইক্রোবাসের টোল ১২০ টাকা আর প্রাইভেট কারের ক্ষেত্রে ৭৫ টাকা।
৩। খুলনার খানজাহান আলী (রূপসা) সেতু
ট্রাকপ্রতি ৭৫০ টাকা। বাসের টোল ৩৪০ টাকা।
৪। মেঘনা-গোমতী সেতু
ট্রাকপ্রতি ১৫০০ টাকা। মাঝারি ট্রাকে ৭৫০ টাকা। মিনিবাসের টোল ৩৮০ টাকা। মাইক্রোবাসের টোল ৩০০ টাকা। প্রাইভেট কারের টোল ১৮০ টাকা।
৫। ভৈরব সেতু
বড় ট্রাকপ্রতি ৭৫০ টাকা, মাঝারি ট্রাকপ্রতি ৩৭৫ টাকা। ছোট ট্রাকের ক্ষেত্রে ২৮৫, বড় বাসের ক্ষেত্রে ৩৪০, মিনিবাসের টোল ১৯০ টাকা এবং মাইক্রোবাসের টোল ১৫০ টাকা।
৬। শাহ আমানত সেতু
বড় ট্রাকে নেওয়া হবে ৬৩০ টাকা ও মাঝারি ট্রাকে ৩০০ টাকা। ছোট ট্রাকের টোল ২২৫, বড় বাসে ২৭০ টাকা, মিনিবাসে ১৫০ টাকা, মাইক্রোবাসে ১২০ টাকা এবং প্রাইভেট কারের ক্ষেত্রে ৭৫ টাকায়।
৭। লালন শাহ সেতু
সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার বড় ট্রাকে ৭৫০ টাকা। বাসের টোল ৩৪০ টাকা।

প্রশ্ন হলো, যেখানে দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে এতো উচ্চ হারে টোল আদায় করা হয়ে সেখানে অন্য দেশের কাছ থেকে ট্রানজিট বাবদ এতো কম টোল কেন? এটা কি ট্রানজিট বাবদ টোল নাকি মিসকিনের ভিক্ষা? দেশের মানুষের থেকে বিদেশের মানুষরাই কি তাহলে বেশি আপন?