07 April 2016

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিস্ক্রিয়তায়ই জঙ্গিদের উত্থান হচ্ছে

বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক উদার রাষ্ট্র। এদেশে শতভাগ মানুষ ধর্মপ্রাণ। নানা ধর্মে বিশ্বাসী হলেও তারা নাস্তিক নয়। অথচ কিছু নাস্তিক উগ্রতার দিক থেকে এত বেশি উগ্র, যে মানুষ তার মান-সম্মান-ইজ্জতের গ্যারান্টিটুকুও হারাচ্ছে! 'হারাচ্ছে' কারন, রাষ্ট্র এইসব নাস্তিকের ধর্মদ্রোহীতার পৃষ্ঠপোষণ করছে বলেই মানুষ নিজেদেরকে অভিভাবকহীন ভাবতে বাধ্য হচ্ছে! ফলে আরেকটি ষড়যন্ত্র সমান্তরাল ভাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে- জঙ্গিবাদ!

যখন দেশে বিচারব্যবস্থা, আইন, প্রশাসন এসব অন্যায় দেখেও না দেখার ভান করে, যখন দেশের তথ্য মন্ত্রণালয় নাস্তিকদের দখলে চলে যায়। শিক্ষা ব্যবস্থা হয়ে যায় নাস্তিক নির্ভর সেকুলার শিক্ষা! ঠিক তখনই এদের দিক থেকে আইনশৃংখলা বাহিনীর নিকট যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান মূলক তথ্যও আর প্রেরিত হয়না। স্কুল-কলেজে ধর্মবিরুদ্ধ প্রশ্নপত্র ও পাঠ্য ঢুকিয়ে দেয়া হয়! সব কিছুর একটা সমান ও বিপরিত প্রতিক্রিয়া আছে। মানুষও অতিষ্ট হয়ে এইসব ধর্মদ্রোহী শ্রেণীর অবাঞ্চিত অপমান সয়ে সয়ে ত্যাক্তবিরক্ত হয়ে যায়! রাষ্ট্র, প্রশাসন, আইন সবই যখন নিরবে এইসব মানসিক টর্চারের প্রতি সমর্থন দেয়, তখনই দেশবিরোধী বহিশক্তির লেলিয়ে দেয়া জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ খোঁজে!

বিপথগামী মানুষকে আইন বহির্ভুত ভাবে হত্যা করে সেটাকে ইসলামের নামে অপব্যাখ্যার সুযোগ গ্রহণ করে। স্বাভাবিক পরিনতিতে, একদিকে জনগণের আইনগত অধিকার লংঘন হবার পর, জনবিরোধী অপরাধীর আইনগত অধিকারও লঙ্ঘিত হয়! স্বাভাবিক ভাবেই এমন সাঙ্ঘাতিক হত্যাকান্ড গুলোতেও আগে থেকে ক্ষুব্ধ থাকা জনতা মৌন অবস্থানে চলে যায়! ফলে 'অপরাধীর' ওপর অপরাধকারীরা এক ধরনের সাফল্য লাভ করে। একসময় ব্যার্থ আইন শৃংখলা বাহিনীর কারনেই এইসব জঙ্গিদের জঙ্গিবাদী কার্যক্রমকে মানুষ সাধুবাদ জানাতে শুরু করে!

অথচ এইসব ধর্মদ্রোহী ও সম্মানহানিকর অপবাদ, অশ্লীল লেখনির সাথে সাথেই রাষ্ট্রীয় দ্বায়িত্বপ্রাপ্তরা যথাযথ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এইসব দূর্বৃত্তকে আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করালে একদিকে জনগন স্বস্থিতে থাকতো। আইনের আওতায় নিজেদের মান-সম্মান-বিশ্বাস এর মর্যাদার গ্যারান্টি পেত। অন্যদিকে ধর্মদ্রোহী মাস্তানরা মানুষের বিশ্বাস ও সম্মানে আঘাত করতে সাহস পেত না। জঙ্গিবাদী অপশক্তির মাথা চাড়া দেয়ার মওকাও তৈরি হতনা। আজ গোটা সমাজ ও রাষ্ট্র যেন অপশক্তির দখলে চলে যাচ্ছে। যারাই আইন হাতে তুলে নিচ্ছে তারাই যেন বিজয়ী হচ্ছে! এভাবে একটা সুশৃংখল সরল জাতিকে আজ কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?