উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে বিশ্বে খ্রিষ্টান, ইসলাম ও বৌদ্ধ এই তিন ধর্মই রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত আছে। রাষ্ট্রধর্মের অপর নাম গুলো হল- established religion, state church, established church, অথবা official religion, ইত্যাদি। এবার আসুন দেখি কোন কোন দেশে স্টেট রিলিজিওন আছে?
রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টান দেশের তালিকাঃ
কোস্টারিকা, লিটেন্সটেইন, মাল্টা, মোনাকো, ভ্যাটিক্যান সিটি, আর্জেন্টিনা, অ্যানডোরা, ডোমিনিকা রিপাব্লিক, এল সালভাদর, প্যারাগুয়ে, পেরু, পোল্যান্ড ও স্পেন।
ভ্যাটিক্যান সিটি একমাত্র স্বার্বভৌম রাষ্ট্র যেখানে কোন ধর্মীয় নেতা ছাড়া আর কেউ রাষ্ট্র প্রধান হতে পারবেনা। এমনকি মন্ত্রী পরিষদেও স্থান পাবেনা। শুধু ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের জন্যই কৃত্রিম ভাবে সৃষ্ট স্বার্বভোউম রাষ্ট্র এই ভ্যাটিকেন সিটি।
স্টার্ন অর্থোডক্স খ্রিষ্টান দেশের তালিকাঃ
গ্রিস।
প্রোটেস্টেন্ট খ্রিষ্টান দেশের তালিকাঃ
ইংল্যান্ড।
লুথারিজম খ্রিষ্টান দেশের তালিকাঃ
ডেনমার্ক, গ্রীনল্যান্ড, আইল্যান্ড, নরওয়ে, বলা হয়েছে, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন।
ইসলাম কে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণাকারী দেশের তালিকাঃ
বাংলাদেশ, জিবুতি, ইরাক, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, তিউনিশিয়া, আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, ব্রুনাই, জর্ডান, মালয়েশিয়া, মৌরিতানিয়া, কাতার, সোউদি আরব, সোমালিয়া ও ইরান।
বৌদ্ধ ধর্মকে রাষ্ট্র ধর্ম ঘোষনাকারী দেশের তালিকাঃ
বার্মা ও ভুটান।
ইহুদি ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণাকারী দেশের তালিকাঃ
ইজরাইল।
ওপরে বর্নিত দেশগুলো স্পষ্ট ভাবে ধর্মের প্রভাব স্বীকার করে দেশ ও সংবিধান পরিচালনা করে। এছাড়াও আরো অনেক গুলো দেশ আছে যারা সাংবিধানিক ভাবে সংখ্যাগুরুর ধর্ম, ট্রেডিশনাল ধর্ম, জনপ্রিয় ধর্ম বলে ধর্মকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ওই দেশগুলোতে সেসব ধর্ম প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। যদিও এদের বেশিরভাগ দেশেই অন্যান্য ধর্মের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা অস্বীকার না করে সকল ধর্মকে শ্রদ্ধা করা হয়। কিছু দুস্কৃতিকারী ক্ষমতাধর পরিচালিত রাষ্ট্র অবশ্যই ব্যাতিক্রম।