20 February 2016

দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীদের ভাড়াটে মাস্তান বানাবেন না, প্লিজ!

দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সব ধরনের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদ্যা শিক্ষার পরিবর্তে ইদানিং রাজনীতিটাই যেন মুখ্য বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও তার ব্যতিক্রম হতে পারে নাই। সেখানেও বিশ্ববিদ্যালয় হলে থাকতে হলে কি কি রাজনৈতিক কাজে অংশ নিতে হবে সেটা শিক্ষা দেওয়ার জন্য গেস্টরুম করা হয় গভীর রাতে। শীতের মধ্যে দাড়িয়ে ডিউটি করতে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভর্তি হয় বিদ্যা শিক্ষার জন্য। আর দেওয়া হয় রাজনীতি শিক্ষা৷ হলে থাকতে হলে কি কি রাজনৈতিক কর্মকান্ড করতে হবে দেওয়া সেই শিক্ষা। এখানে রাজনীতিটাই মুখ্য শিক্ষা নয়। হলে থাকতে হলে একটি রাজনৈতিক সংগঠন নিয়ম কানুন বাতলে দেয়। অথচ হওয়ার কথা ছিল হল প্রশাসন মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে হলে সিট দিবে। শিক্ষার চেয়ে রাজনীতির গুরুত্ব বেশি যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বিদ্যাপীঠে হয়ে থাকে তাহলে অন্যান্য বিদ্যাপীঠের কি অবস্থা সেটা জানতে বিশেষজ্ঞ হতে হয় না।

এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষিতরা দেশকে কি দিবে? দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আসলে কি শিখছে? হলে সিট বন্টনের দায়িত্ব একটি রাজনৈতিক সংগঠনের হাতে কেন? বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি ক্যাডার বা মাস্তান বাহিনী দরকার হয় তাহলে সেখানে ছাত্রদের ভর্তি না করে রাস্তার ভাড়াটে মাস্তানদের ভর্তি করলেই তো হয়৷উন্নয়ন উন্নয়ন বলে গলা না ফাটিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলে উন্নয়ন এমনিতেই আসবে। দয়া করে দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীদের ভাড়াটে মাস্তান বানাবেন না।