15 February 2016

মানহানি মামলার বাদীর বিরুদ্ধেও মানহানির মামলা করা হোক

জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক 'ডেইলি স্টার' এর সম্পাদক মাহ্ফুজ আনামের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা করে মোট ২০০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে সিলেটের আদালতে দুটি পৃথক মামলা করা হয়েছে। মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ১/১১ এর সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ডিজিএফআইয়ের সরবরাহ করা তথ্য যাচাই-বাছাই না করে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে ডেইলি স্টার। সম্প্রতি টেলিভিশনের একটি টক শো’তে পত্রিকাটির সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম তা স্বীকার করেছেন। মিথ্যা ওই সংবাদের কারণে দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার মানহানি হওয়ায় মামলা দুটি করা হয়েছে।

মাহফুজ আনাম একটা বড় কালপ্রিট এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এই দেশে রাজনীতিবিদরা তো কত সময়ই অনেক মনগড়া মিথ্যা কথা বলে। কিন্তু নিজেরা ভুলেও নিজেদের ভুল স্বীকার করে না। তার কি দরকার ছিল ভুল স্বীকার করার? ঐসময়ে তিনি তো একাই যাচাই বাছাই ছাড়া সংবাদ পরিবেশন করেন নাই। অনেকেই করেছেন কিন্তু কেউ স্বীকার করে নাই। তাই কারও কোন সমস্যা নাই। ব্যাটা নৈতিকতা দেখাতে গিয়েছিলেন! এদেশে এরকম নৈতিকতা কে দেখাতে বলেছে তাকে? সুতরাং তার বিরুদ্ধে আরও মামলা দেওয়া হোক। মামলায় জর্জরিত করে ফেলা হোক। এমন উদাহরণ সৃষ্টি করা হোক যেন কেউ ভুলেও নৈতিকতার দায়ে নিজের ভুল স্বীকার না করে।

এদশে নিজের ভুল স্বীকারের প্রতিদান কেমন হবে সেটা মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার আগেই অনুধাবন করা কষ্টসাধ্য নয়। তবে একটি বিষয়ে অবাক হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর মানের মুল্য মাত্র ২০০ কোটি টাকা! কী অদ্ভুত! এত কম! যেখানে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকাকে সামান্য কিছু টাকা মনে হয় আমাদের অর্থমন্ত্রীর নিকট, সেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানহানির বিনিময় মুল্য মাত্র ২০০ কোটি টাকা! তাও একটি মধ্যম আয়ের দেশের প্রধানমন্ত্রীর মানের মুল্য! নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর মানের এই মুল্য নির্ধারন করল কে? তার বিরুদ্ধেও মানহানির মামলা করা হোক।