26 September 2020

এমসি কলেজে তরুনীকে গনধর্ষণ: ছাত্রলীগ কবে মানুষ হবে?

 


এরা কারা? এরা সবাই ধর্ষক। এছাড়াও এদের আরও একটি বড় পরিচয় আছে। এরা হলো ছাত্রলীগের কর্মী। এরা ছাত্রলীগের টিলাগড় ভিত্তিক গ্রুপের সদস্য। এরা বেপরোয়া, এরা নির্মম, এরা শক্তিশালী।  

কিন্তু এরা কি সিলেটের সর্বসাধারণের চাইতেও শক্তিশালী? কোন কোন গ্রুপ এখানে কার্যকর? কলেজ বন্ধ থাকলে হোস্টেল বন্ধ থাকলে কি তার সিকিউরিটিও বন্ধ থাকে? কলেজ অফিসিয়াল কি দায় এড়াতে পারে? কোন কিছু খারাপ ঘটলেই জনআন্দোলনের মাধ্যমে বিচার চাইতে হয় কেন? বিচার কি জনতার আন্দোলনের বিষয়?

বিচারতো একটা দেশে স্বয়ংক্রিয় হওয়াই উচিত। না হলে কিসের বিচার। তার মানে কি এই নয় বিচার প্রভাবিত করা হচ্ছে? একটা সোসাইটিতে ভালো মন্দ একটা পার্সেন্টেজে ঘটতেই থাকে এখন কি সব অপঅরাধীকেই আন্দোলন করে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোই একমাত্র পন্থা নাকি এই বিচার প্রভাবক নেতা ও তার অনুসারিদের এবং সরকারের অফিসিয়ালদের বিরুদ্ধে জন-আন্দোলন দরকার? 

ক্রসফায়ার কি অপরাধ দুর্নীতি কমাতে পারে নাকি নিজেই আরো হাজার অপরাধের দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়? একদল রেপিস্ট যদি আরেকদলের বিচার এবং একদল দুর্নীতি বাজ রেপের সমর্থক কি আরেকটি অনুরূপ ঘটনার সুষ্টু বিচার করতে পারে বলে আপনাদের ধারণা? 

এই ভয়ঙ্কর মহামারি করোনাতেও দেশের পুরো স্বাস্থ্যখাত নিয়ে দলীয় লুটপাট, চুরি-ডাকাতি তো সারা বিশ্বের জন্য এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে এক বিরল স্থান করে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পাহাড় থেকে সমতলে ধর্ষণ, গণধর্ষণের ঘটনা একের পর এক ঘটে চলেছে। রাষ্ট্র, সরকার কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই আগের মতোই আছে। প্রায় নির্বিকার। ফেসবুক কেন্দ্রিক বিদ্রোহ-প্রতিবাদ কিংবা মানববন্ধনও আগের পরম্পরা মেনেই হয়েছে।

এই দেশে আপনি বাবার পাশে ঘরে থাকলেও ধর্ষণের শিকার হবেন, স্বামী নিয়ে বাইরে ঘুরতে গেলেও ধর্ষণের শিকার হবেন। পাহাড়ে, সমতলে, ঘরে, বাইরে, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-মসজিদ-মন্দির-গির্জা-হাসপাতাল যেখানেই থাকেননা কেনো বেঁচে থাকলেই আপনি ধর্ষণের শিকার হবেন। মরে গেলে মর্গেও রেহাই পাবেন না। এই ঘৃণ্য দানব ধর্ষকদের থেকে পাহাড় থেকে সমতলের কেউই রক্ষা পাবে না।