চারদিকে শুনশান নিরবতা। সবগুলো সরকারী পাঠকল বন্ধ হয়ে গেল। কোথাও কোন প্রতিবাদ নেই, আক্ষেপ নেই, নেই কোন সমালোচনা বা পর্যালোচনা। এই করোনাকালে ২৫,০০০ এর মত শ্রমিক, কর্মকর্তা চাকুরী হারালো। করোনাকালে সরকারই বড় পরিসরে চাকুরীচ্যুতির কার্যক্রমকে উদ্বোধন করল।
এটি গার্মেন্টস সহ অন্যান্ন সেক্টরে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের চাকুরীচ্যুতিকে উৎসাহিত করবে। এই করোনাকালে যেখানে সবার উচিৎ মানবিক হওয়া, সেখানে সরকারই প্রথম অমানবিক হল। হয়ত প্রক্রিয়াটি অনেক আগেই শুরু হয়েছে। সরকারের উচিৎছিল বর্তমান সময়টাকে অতিবাহিত হতে দেয়া।
পাট নিয়ে আমরা অনেকবেশী আশাবাদী ছিলাম আমাদের দেশে সাশ্রয়ী খরচে পাটের পলিথিন আবিস্কারের পর। কিন্ত একসাথে সকল পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত এর ভবিষ্যতকে ধ্বংস করে দিল। উন্নত বিশ্বে সরকার সমূহ এ সময়ে চাকুরী রক্ষাকেই অর্থনৈতিক কার্যক্রমের অন্যতম নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে আমাদের সরকার এই একই সময়ে সব সরকারী পাটকল একই সাথে বন্ধ করে দিয়েছে, সব পাটকল শ্রমিক, কর্মকর্তাকে চাকুরীচ্যুত করেছে।
চাকুরীর বাজার যখন সীমিত, অর্থনীতির চাকা যখন প্রায়ই স্থবির, বিকল্প কর্মসংস্থান বলতে সীমিত আকারে ব্যয়বহুল অলাভজনক কৃষি, তখন সরকারের উচিৎ ছিল আরও অনেক বেশী মানবিক হওয়া, আপদকালিন সময় হিসেবে আগামী ২ বছরের জন্যে হলেও চাকুরীগুলো রক্ষা করা। সমস্যা হচ্ছে বর্তমান জবাবদিহিহীন বাংলাদেশে এ দাবিটি করবে কে?