22 October 2019

পাপন সাহেবের ষড়যন্ত্র তথ্য এবং আমার কিছু প্রশ্ন

আমাদের রাজনীতিবিদেরা একটা বিষয় বেশ পারদর্শী আর তা হল ষড়যন্ত্র তথ্য! কোন অনুসন্ধান না করেই মুখস্হ ডায়ালগ "ষড়যন্ত্র"। আমি বলছি না ষড়যন্ত্র একদম হয় না কোন কোন ক্ষেত্রে তো অবশ্যই হয়। কিন্তু সবকিছুতেই ঢালাওভাবে ষড়যন্ত্র খোজা একটু বাড়াবাড়িই বটে।

ক্রিকেট নিয়ে বর্তমান যে অবস্থা চলছে তার নিয়ে আমাদের আলোচনা করতে হলে আগে আমাদের ক্রিকেটারদের দাবিগুলো মনযোগ দিয়ে পড়তে হবে। যারা পড়েছেন নিশ্চয়ই অনুধাবন করেছেন এটা শুধু ক্রিকেটারদের ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয় এই দাবিগুলো পুরো ক্রিকেট কাঠামো নিয়ে। এই দাবি শুধু সাময়িক সমস্যার জন্য নয় দীর্ঘ প্রভাব থাকবে আমাদের ক্রিকেটে যা ক্রিকেটের জন্য শুভকর।

এখন একটু ষড়যন্ত্র তথ্য খুঁজি, যদি সত্যি ষড়যন্ত্র হয়ে থাকে তা আমাদের ক্রিকেট নিয়ে নয় হচ্ছে পাপনের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন হতে কেন এমন ভাবছি আমি? আসুন কিছু বাস্তবতা নিয়ে আলোচনা করি।

১) পাপন সাহেব বোর্ডকে অনেকটা এক নায়কতন্ত্র করে ফেলেছে যা ক্রিকেটের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী ভাল চোখে দেখছে না, আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে এদের প্রভাব কম নয়।

২) উনি এ বছর বিপিএল বঙ্গবন্ধুর নামে বোর্ডের অধীনে করতে চাচ্ছেন এতে করে ফ্যাফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো অনেক ক্ষতির মুখে পড়ছে বিশেষকরে তাদের ভাবমূর্তিতে আঘাত লেগেছে, এখন দেখুন এই দলগুলো কারা চালায়, বসুন্ধরা গং, লোটাস কামাল গং, দরবেশ গং, আপনারা বলুন এদের পাওয়ার কি পরিমাণ।

পাপন সাহেব চাইলে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি জাঁকজমক লীগ করতে পারতেন তা না করে বাহাদুরী দেখিয়েছেন বিশেষকরে সাকিব রংপুরে নাম লেখানোর পরে। আমি ব্যক্তিগতভভাবে এটাকে ষড়যন্ত্র মনে করি না, আমি মনে করি আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড়দের শেষ সময়ে এসে গেছে। তাঁরা দেখছে দেশের ক্রিকেট কাঠামো খুবই দুর্বল বিশেষকরে ঘরোয়া লীগ। এখানে নাকি জয় পরাজয় আগেই নির্ধারণ হয়! ভাবা যায়!! তাই তাঁরা চাচ্ছে একটি শক্তিশালী কাঠামো যা ভবিষ্যতে দেশের ক্রিকেটের পথ দেখাবে।

খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক। এই একটি বিষয় যা এই জাতিকে এক করে, জিতলে একসাথে নাচে, হারলে একসাথে কাঁদে। ভাল থাকুক বাংলাদেশ ক্রিকেট, সৈরাচারতন্ত্র মুক্ত হোক আমাদের রাষ্ট্রীয় সব কাঠামো।