15 March 2016

বাংলাদেশ ব্যাংক কেলেঙ্কারি, দায় কার?

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮০৭ কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। যেখানে ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ এই ঘটনা ঘটলেও ১ মাসের অধিক সময় ধরে আমরা সাধারন জনগন এই ঘটনা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ ছিলাম পরবর্তীতে দেশের বাইরের বিভিন্ন পত্রিকায় এই জালিয়াতির বিষয়টি উঠে আসে। যাই হোক বর্তমানে ওই ঘটনার বিষয়ে দায়িত্বশীল দুই পক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থমন্ত্রানালয়ের পক্ষ থেকে দায় স্বীকার না করে একে অন্যের বিরুদ্ধে দায় চাপান হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ‘আমি আমার বিবেক দ্বারা চালিত হই, মনে করি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি না বললে আমার পদত্যাগ করা উচিত হবে না। সাত বছর দায়িত্ব পালন করেছি, বাংলাদেশ ব্যাংককে সন্তানের মতো মনে করেছি। রিজার্ভ থেকে চুরি হোক, এটা আমি কখনো চাইনি।’ অর্থ মন্ত্রীকে না জানানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, 'অর্থমন্ত্রীকে বিষয়টি জানাইনি, কারণ আমি চেষ্টা করছিলাম টাকাটা ফেরত আনার জন্য।অর্থমন্ত্রীকে জানালে যে টাকাটা ফেরত এসেছে সেটাও ফেরত পেতাম না।

অর্থমন্ত্রী বললেন বাংলাদেশ ব্যাংকে বড় পরিবর্তন হবে। আবার বললেন গভর্নর পদত্যাগ করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভাল হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের এই নজরদারি (সার্ভিল্যান্স) যদি বাংলাদেশ ব্যাংকে হতো, তাহলে ভালো হতো। দেশের টাকা বেঁচে যেত। ’এরপর যা বলার সংবাদ সম্মেলনেই বলব। এখন আর কিছু বলব না’ বলে চলে যান অর্থমন্ত্রী।
কিন্তু দুপুরেই সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হল! শেষ খবর গভর্নর পদত্যাগ করলেন আর দুই ডেপুটিকে অব্যাহতি দেওয়া হল। যেখানে অর্থমন্ত্রী বললেন "টু আর গন"।

সদ্যবিদায়ী গভর্নর আতিউর রহমান বললেন, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। এখন তাদের উভয়ের বক্তব্য থেকে অনুমান করা যায় দুই জনের একজন নিশ্চিত ভাবেই অপরাধী চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। প্রথমে বলা হল আমেরিকান রিজার্ভ ব্যাংকের দোষ আর এখন অর্থমন্ত্রানালয় আর বাংলাদেশ ব্যাংক সদ্য সাবেক গভর্নর একে অন্যকে দোষ দিচ্ছেন! এরপরও তাহারা বলছেন কিছুই নাকি হয় নাই, সবাই সৎ, সত্যবাদী। যাই হোক মতিঝিল থানায় মামলা হয়েছে, সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে দেখা যাক কোথাকার জল শেষ পর্যন্ত কোথায়
গিয়ে দাঁড়ায়!

জনাব ইমরান সরকারের পোস্ট থেকে- "আর্থিক খাতে সামগ্রিক একটা সংস্কার দরকার। পুরনো পঁচা মাল সরিয়ে সৎ, যোগ্য, দেশপ্রেমিক কিছু নতুন মাল দরকার। আর দরকার চোর-ডাকাতদের বিরুদ্ধে অপারেশন ক্লিনহার্ট। মনের ভেতর দেশের প্রতি বিন্দু পরিমাণ ভালোবাসা থাকলে তো আর দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচার করা যায় না! তাই অপারেশন হার্ট থেকেই শুরু হোক; অপারেশন ক্লিনহার্ট কিংবা অপারেশন ক্লিনমাইন্ড। চোর-ডাকাত নিধন ছাড়া আর এদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।