সরকার শুরু করলটা কি? একে একে দেখি সব যোগাযোগ মাধ্যমই বন্ধ করে দিচ্ছে! ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ এর পর এবার স্কাইপি, ইমো, টুইটার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছ। আমরা যারা প্রবাসে থাকি তাদের জন্য পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের দেখার জন্য ভিডিও কলের সব মাধ্যমগুলো একে একে বন্ধ করে দিচ্ছে।
একবিংশ শতাব্দীতে এসে পৃথিবী যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন বাংলাদেশ হাটছে ঠিক পিছনের দিকে। এরা নাকি আবার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বে! এভাবে আধুনিক প্রযুক্তির যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে ডিজিটাল দেশ গড়ার ফর্মূলা কোথা থেকে আমদানি তা আমার ক্ষুদ্র মাথায় আসে না।
আমরা যারা বিদেশ থাকি তাদের জন্য কোন ব্যবস্থা চালু না করে এভাবে ধীরে ধীরে সবকিছু বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ জনগণের সমস্যাকে ড্যামকেয়ার করা ছাড়া আর কিছু নয়। এমনিতেই দূরে থেকে পরিবারকে সবসময় ফিল করতে হয়। দিন শেষে বা অবসরে পরিবারের সাথে কথা বলে, পরিবারের সদস্যদের ভিডিওতে দেখতে পেরে কিছুটা কষ্ট লাঘব করা যায়।
প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এদের কথা বিবেচনায় আনা অতি জরুরী। দেশের জনগণের জন্য আইন। আইনের জন্য জনগণ নয়। কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জনগণের কথা মাথায় রেখেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
যদি নিরাপত্তার জন্য এসব মাধ্যম বন্ধ করতে হয় তাহলে মোবাইল ফোনগুলো কি দোষ করলো? সব মোবাইল যোগাযোগও বন্ধ করে দেওয়া হোক! আমরা সেই আদিম যুগে ফিরে যাই। যেখানে কবুতর হবে চিঠি আদানপ্রদানের মাধ্যম।