07 October 2015

ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আপাত দৃষ্টিতে একেবারেই শান্ত। সরকারের বিরোধী কেউ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার মত ক্ষমতা নাই। এধরণের অবস্থা বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত বিরল ঘটনা। সরকার-বিরোধী তো দূরের কথা, এলাকার সরকারী দলের নেতা পাতিনেতাদের কাজ কর্মের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস বর্তমানে কারও নাই।

দুই নেত্রীর বিগত ২৫ বছরের শাসনামলে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে দুই বিদেশি নাগরিকের হত্যা এর আগে কোনদিন ঘটে নাই। একই সাথে এতগুলো দেশ তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরে ও চলাফেরায় রেড এলার্ট জারি করে নাই। কোন দেশ নিরাপত্তার অযুহাতে তাদের ক্রিকেট দলের সফর বাতিল করে নাই। বিসিবির বিদেশি কোচিং স্টাফদের জন্য আগে কখনও গানম্যান নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।

হঠাৎ করে দেশে এমন কি হল বহির্বিশ্বে আশঙ্কা প্রকাশের সাথে সাথে দেশে বিদেশী নাগরিকরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ল? আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা পুরোটাই অন্ধকারে অথচ সুদূর অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা সংস্থা ঘটনার আগেই জানিয়ে দিতে পারল তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে নিরাপত্তার ঝুঁকি রয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কোথায় সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা ঘটনার আগেই জেনে গণগ্রেফতার করতে পারে অথচ এসব খবর রাখার মোটেই সময় পায় না।

দেশের বর্তমান অবস্থা যথা সম্ভব দ্রুত কাটিয়ে উঠতে না পারলে দেশের জন্য ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করছে। গত ৬/৭ বছর বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি প্রায় বন্ধ। সম্প্রতি গার্মেন্টস শিল্পের বিদেশি বায়াররা তাদের বাংলাদেশ সফরের সিডিউল বাতিল করছে। দেশের অর্থনীতির প্রধান দুই খাত তৈরি পোশাক রপ্তানী ও বিদেশী রেমিটেন্সের উপর প্রভাব পড়া মানে দেশের অর্থনীতির উপর এর প্রভাব মারাত্মক। এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশের জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।