04 November 2012

তখন আর প্রতিবাদ করার কেউ থাকবে না

সময়টা ১৯৩৯-১৯৪৫। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নারকীয় ভয়াবহতার সময়কাল। জার্মান কবি Nicmoller এ ভয়াবহতাকে তুলে ধরেছন তার অমর সৃষ্টি First they came for the Jews কবিতার মাধ্যমে । নিরবতা একটি জাতিকে কিভাবে শেষ করে দেয় তা তিনি তুলে ধরেছেন এভাবে:

First they came for the Jews
And I did not speak out
Because I was not a Jew
Then they came for the communist
And I did not speak out
Because I was not a communist
Then they came for the trade union
And I did not speak out
Because I was not a trade unionist
Then at last they came for me
And there was no one left to
Speak out for me.

তারা প্রথমে ইহুদীদের ধরতে এসেছিল,
কিন্তু আমি প্রতিবাদ করিনি,
কারণ আমি তো ইহুদী ছিলাম না।
তারপর তারা কমিউনিষ্টদের ধরতে এসেছিল
তখনও আমি প্রতিবাদ করিনি
কারণ আমি তো কমিউনিষ্ট নই
তারপর তারা ট্রেড শ্রমিকদের ধরতে এসেছিল
তখনও আমি কথা বলিনি
কারণ আমি তো ট্রেড শ্রমিক নই
তারপর অবশেষে তারা আমাকে ধরতে এসেছিল
তখন আমার পক্ষে কথা বলার
আর কেউ অবশিষ্ট ছিল না।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই কথাগুলো আজকের বাংলাদেশীদের মানুষদের জন্য ক্রমেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। ফ্যাসিজমের চরিত্রই হচ্ছে ধ্বংস করা, কোন কিছু গড়া তার স্বভাব বিরুদ্ধ। তবে ফ্যাসিজম তার চরিত্রকে এক সাথে প্রকাশ করে না। ধীরে ধীরে একের পর এক ভিন্ন মতকে দমন করে একটা পর্যায়ে ফ্যাসিজম স্বরূপে আবির্ভাব হয়। আজ বাংলাদেশের ঘাড়ে ফ্যাসিজম তার বিষাক্ত নিংশ্বাস ফেলছে। অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে ভিন্ন মতকে নিভিয়ে দেবার চেষ্টা চলছে। সমস্যাটা হলো ফ্যাসিবাদ বিরোধীরা অন্যের বিপদে নিজেকে গুছিয়ে রাখছে। Nicmoller এর কবিতার মতো কারো বিপদে কেউ এগিয়ে আসছে না। এর পরিণতি কি হবে? সব মত, আদর্শকে দমন করার পর এক সময় সর্বশেষ আদর্শটিকে যখন আঘাত করা হবে , তখন তার জন্য কথা বলার আর কেউ অবশিষ্ট থাকবে না।