05 December 2012

এখন আর আশা জাগে না, দেশকে নিয়ে

আওয়ামী লীগ সরকার এখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায়। এই সরকার নির্বাচনের আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশ, রূপকল্প-২০২১, দিন বদলের সরকার অনেক কিছু বলেছিল। মানুষ আশাবাদী হয়েছিল। কারণ তাদের আসার আগে দুই বছর সেনাসমর্থিত সরকার ছিল, যারা রাজনীতিবিদদের ওপর অনেক নির্যাতন করেছিল। মানুষ মনে করেছিল, এই সরকারের নেতারা অনেক শিক্ষা পেয়েছেন। অনেকের শরীরেই নির্যাতিত হওয়ার দাগ রয়ে গেছে।

কিন্তু ক্ষমতায় আসার কিছুদিনের মধ্যেই আবার তারা সেই পুরনো রাজনীতিবিদ। চার বছরে শেখ হাসিনার সরকার সফলতার কোনো উদাহরণ দেখাতে পারবেন না। বিদেশী বিনিয়োগ শুণ্যের কোঠায়। বিদ্যুৎ উৎপাদনের কোনো ব্যবস্থা নেই। জিনিসপত্রের দাম অত্যন্ত ভয়ানক। শহরে অপরিসীম যানজট। বেড়েই চলেছে বাড়তি জনসংখ্যার চাপ। গ্রামেও চরম নিরাপত্তাহীনতা। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এখন সর্বত্র। এ অবস্থায় জনগণ হতাশ।

বাংলাদেশ গরীব দেশ, জনসংখ্যা ১৬ কোটি। সম্পদ সীমিত। রাতারাতি সমস্যার সমাধান হবে না। রাতারাতি আমরা সিঙ্গাপুর হবো না। কিন্তু মন্ত্রী, সাংসদেরা কাজ করছেন, জনগণের সেবায় ব্যস্ত রয়েছেন, তবেই মানুষ আশাবাদী হতে পারে। কিন্তু এই সরকারের মন্ত্রীরা কেবল ফিতা কাটা, কমিশন খাওয়ায় ব্যস্তু। কমবেশি সবাই ভোগবাদী। প্রধানমন্ত্রী নিজেও। বিদেশ সফর করতে ভালোবাসেন। ডক্টরেট ডিগ্রি তার চাই-ই চাই। কথা আক্রমনাত্বক। বিরোধী পক্ষের প্রতি সহনশীলতার অভাব। এসব দেখে আশা জাগে না। সত্যিই আশা জাগে না।